বিশেষ প্রতিনিধি: গৌরনদীতে পাল্লক পুত্রকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে নানান ষড়যন্ত্রের পরে তাড়তে না পেরে এবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের বেত গর্ব গ্রামের অসহায় দিন মজুর ভ্যান চালক কাওছার -২৮ এর বেলায়।
কাওছার মোল্লা জানায়, গত ২৮ বছর পূর্বে আমার জন্মের পরই আমাকে নাকি পালতে নিয়ে আসেন আমার সম্পর্কের ফুপু মমতাজ বেগম এবং তার ভাই বারেক মোল্লার পুত্র সন্তান না হওয়ার করনে তার গৃহে (বারেক) পালতে দেয়া হয় আমাকে।
আমার মা সোনাবানের জীবদ্দশায় আমার নামে ১৬: শতাংশ জমিন ছাবকবলা মুলে রেজেষ্টি দলিল করে দেন আমার লালন পালন কৃত বাবা বারেক মোল্লা। কাওছার একটু একটু করে বড় হয়ে উঠতেই তার পালন কৃত মায়ের গর্ভে পুত্র সন্তান ধারন করে ও ভূমিষ্ট হয়।
আমার মায়ের গর্ভে পুত্র সন্তান জন্ম হলে আমাকে বাঁকা চোখে দেখতে থাকেন পরিবারের সকল সদস্যরা।
কখনো আবার মিথ্যা অজুহাতে আমাকে মারধর করেন তারা। এর ভিতর থেকেও বহু জ্বালা জন্ত্রনা সহ্য করে নিরুপায় জীবন নিয়ে ওই পরিবারেই ক্রমন্বয়ে বড় হয়ে বুঝ শক্তি ফিরে আসল নিরুপায় হয়ে জীবন বাঁচতে আমি চিটাগেং গিয়ে স্বল্প বেতনে পোশাক শিল্পে কাজ করে জীবন ধারন করি।
ওই পোশাক শিল্পে কর্মরত আমার এক সহ কর্মিকে জীবন সঙ্গীনি হিসেবে বিয়ে করে আমার আশ্রয় প্রশায় দ্তা পিতার গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসি।
কিন্তু কিছু দিন পিতার কাছে থাকার পরেই পরিবারের সকলে মিলে নানান ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে আমাকে আমার স্ত্রী সহ তাড়িয়ে দিতে ব্যাস্হ সময় পারি দেন তারা।
আমার নামে দেয়া দলিল কৃত জমি ফিরে নিতে নানান কৌশল অবলম্বন করে আমাকে লোক দিয়ে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন তারা।
হত্যার ষড়যন্ত্রের মিশনে ব্যর্থ হয়ে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে নুতন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন নাটকিয়তায় মধ্য দিয়ে আমার ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী শাহানাজকে দিয়ে গৌরনদী থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
এই মিথ্যা অভিযোগ থেকে পরিত্রান পেতে সরকারের সর্ব মহলে সহোযোগিতা কামনা করছেন ভুক্তভোগী অসহায় ভ্যান চালক কাওছার মোল্লা ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম সহ এলাকার সাধারন মানুষ।